বুধবার, ১৮ Jun ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ন
মোঃ মাইন উদ্দিন, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ভাইকে ভাবি মারধর করেছে এমন অভিযোগ পেয়ে ভাই এর পক্ষ হয়ে বোনেরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভাবির সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ননদকে মারধর করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বড় শাজাহান মিয়া (৬০) এর স্ত্রী নাছিমা (৪৫) সহ তার বোন এবং মেয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের বড় ছয়সূতী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আছমা (৫৫)। সে ছয়সূতী ইউনিয়নের পার্শবর্তী লনাবাইদ গ্রামের দুলাল মিয়া দুলুর স্ত্রী ও শাজাহান মিয়ার ছোট বোন। আছমা ২ ছেলে ও ৫ মেয়েসহ ৭ সন্তানের জননী। সে পেশায় একজন গৃহিণী। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ভাবে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নিহত আছমার বড় ভাই শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী নাছিমা (৪৫), নাছিমার ছোট বোন আব্দুস সাত্তার মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম (৩৫) ও নাছিমার মেয়ে রুবেল মিয়ার স্ত্রী সাথী আক্তার (২০)। পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে নিহতের ভাই শাহজাহান মিয়াকে মারধর করে স্ত্রী নাছিমা। পরে সকালে এ ঘটনা শাজাহান মিয়া তাঁর বাড়ির কাছে বোনদের বাড়ি হওয়ায় ঘটনাটি বোনদের জানায়। বিষয়টি শুনে তাঁর বোনেরা ভাইয়ের পক্ষ হয়ে প্রতিবাদ করে এবং তাদের ভাইকে কেন মারধর করেছে জানতে চায় বোন আছমা ও নাদিরা। এ সময় শাজাহানের বোন আছমার সাথে ভাবি নাছিমার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে ভাবি নাছিমা ও তার মেয়ে সাথী এবং ছোট বোন নার্গিস মিলে আছমার চুল ধরে টানাটানি, কিল ঘুষি ও গলায় চাপ দিয়া ধরলে আছমা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং সাথে সাথে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন আছমাকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আছমার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এণ্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে।